• ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা যেন আরব বিশ্বের ভুল রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়ি -ফজলে হোসেন বাদশা

0

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি সই করতে চলেছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে তা হওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে এসেছে, এই চুক্তির আওতায় ইয়েমেন সীমান্তে ১৮০০ বাংলাদেশি সেনা নিয়োগ করা হবে। সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টারটেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)-এ বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নামও দেয়া হয়েছে বলে খবরে এসেছে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এই খবর নিয়ে আলোচনা চলছে। বলাবাহুল্য, দেশের ভেতরে যেমন খবরটি আলোচনা সৃষ্টি করেছে, দেশের বাইরেও এই খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধপূর্ণ ভূরাজনীতিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সরাসরি অংশগ্রহণ প্রকাশ্যে এলো এই প্রথম।

২০১৫ সালে যখন সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছিলো, আমি বলেছিলাম, বিষয়টি আমাদের জন্য কতোটা ইতিবাচক হবে, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা জরুরি। খটকা ছিলো তখনই। কারণ সৌদি যেটাকে ৩৪ দেশের সামরিক জোট বলছিলো, আমরা তখন সেটিকে সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বিত উদ্যোগ বলেছি। ভাষার দিক দিয়ে ব্যাপারটা যাই হোক, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধপূর্ণ রাজনীতিতে যে বাংলাদেশ একটি পক্ষ নিয়ে নিয়েছে, তা নিশ্চিত। এরপর এবারের এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট করে তুলবে নিঃসন্দেহে।

বাংলাদেশের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। দুই দিক দিয়ে বিদেশনীতি পর্যালোচনার দাবী রাখে, প্রথমত দেশের বাহিরে সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের সাথে সংগতিপূর্ণ কিনা; দ্বিতীয়ত আমাদের সামরিক বাহিনীর বিদেশে উপস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বাংলাদেশের কি হচ্ছে। যুদ্ধের উদ্যেশ্যে বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের নীতি আমাদের নেই। সংবিধানে সা¤্রাজ্যবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধেও সুস্পষ্ট অবস্থান আছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বিবাদমান পরিস্থিতিতে একটি পক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়া আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও আঞ্চলিক বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বাংলাদেশ আরব বিশ্বের দেশ নয়। আরবের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিল না। বাংলাদেশ এর আগে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সরাসরি সামরিক জোটে যোগ দেয় নি। ফলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিদেশনীতি সব সময়ই বাংলাদেশের জন্য বজায় রাখা সহজ ছিলো। কিন্তু সৌদি আরবের সঙ্গে অতিঘনিষ্ঠতা তার সেই ভাবমূর্তিকে নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে অস্থিতিশীল ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে বয়ে এনেছেন দেশের জন্য সুনাম। সেই ভূমিকার সঙ্গে এই ভূমিকাকে এক করা যাবে কি না তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। এখানে বলে রাখা ভালো, ইরাকি শাসক সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করে নিলে পরবর্তীকালে সেটি দখলমুক্ত করার জন্য ১৯৯১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সৌদি আরব থেকে ইরাকে যে অভিযান চালায়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কুয়েত কে মাইনমুক্ত করতে সহায়তা করে। তবে সেই সময় আন্তর্জাতিকভাবে এই অভিযানটি ভিন্নভাবে স্বীকৃত ছিলো। কিন্তু বিরোধপূর্ণ ইয়েমেন সীমান্তে এবার বাংলাদেশের সেনা মোতায়েনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও বলা হচ্ছে, সীমান্তে আমাদের সেনারা মাইন অপসারণের কাজ করবে। তারপরেও ইয়েমেনে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে বিবেচনায় নিলে এই সংযুক্তিকে কোনোভাবেই যুদ্ধ অবস্থায় অংশগ্রহণের বাইরে অন্যকিছু হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ইয়েমেনকে কেন্দ্র করে বিশ্বরাজনীতির যে মেরুকরণ, সেখানে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট পক্ষাবলম্বন ভবিষ্যতে আমাদের অনেক বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভালোভাবে নাও নিতে পারে।

ইয়েমেনে আলকায়েদার শক্তিশালী অবস্থানকে যেভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে, সেই বাস্তবতাকে মাথায় রাখা জরুরি। আরব বসন্তের আরেক সর্বনাশা পরিণতি ইয়েমেন। দারিদ্র্যপীড়িত এই দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে ক্ষমতার পালাবদল ও গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নয়, বরং সৌদি নেতৃত্বে ৮ সুন্নী দেশ ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা সেখানকার সঙ্কট ঘণীভূত করতে অভিযানের পর অভিযান চালিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলাফল যা হয়েছে, তা হলো, জাতিসংঘের ভাষায় এটিই বিশ্বের সবচেয়ে মানবসৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় হিসেব চিত্রিত হয়েছে। আর ওদিকে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির এই সুযোগকে পুরোদমে কাজে লাগিয়ে আল কায়দা ইন দি আরব পেনিনসুলা আর ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ভালোভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি। এই বাস্তবতায় আমরা সৌদির সঙ্গে সমঝোতার আওতায় সেনা পাঠালে, তারা যে কাজই করুক না কেন, আমাদেরকে আগামীতে সৌদি আরবের পক্ষের সামরিক শক্তি হিসেবেই ধরা হবে। এখানে সৌদি আরবের যে বড় কৌশল, তা হলো, ইয়েমেন সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা বারবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সেখানে শান্তিরক্ষীদের অন্তর্ভূক্তি করা যায় নি। এখন সৌদি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনাকারী শক্তিগুলো সীমান্তে মাইন অপসারণের মতো কাজগুলো নিজেদের আওতায় করিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ার কাজ চালানো হচ্ছে বলে বিশ্বকে দেখাতে পারে। এমন একটি কৌশলগত খেলায় আমাদের সংযুক্তি আগামীতে নিজেদের জন্যই ইতিবাচক নাও হতে পারে।

সাম্প্রতিককালের কাতার সঙ্কট আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে সৌদি ও তার মিত্ররা যে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে, তা মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের ভবিষ্যত ভাবমূর্তিকে স্পষ্ট করে। কাতার নিজেদের উদ্যোগে সঙ্কট উৎড়েছে ঠিকই। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরবদের আঞ্চলিক জোট জিসিসি দুর্বল হয়ে গেছে। স্পষ্টত বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সে কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনকি বড় বড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোও কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়া ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে খেয়াল করলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বরাজনীতিতে রাশিয়া ও চীন- দু’দেশের পরিচিতিই সৌদি স্বার্থের বিরোধীপক্ষ হিসেবে। মধ্যপ্রাচ্যের জটিল সমীকরণের কারণে সেই তারাও দৃশ্যত কোনো পক্ষের সঙ্গে পুরোমাত্রায় তিক্ততা রাখতে চায় না। অথচ সেখানে আমাদের আচরণ ঠিক উল্টো। বিশ্বে এমনিতেই সৌদির সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে বলে ধরা হয়। এখন আমরা তাদের সঙ্গেই সামরিক সমঝোতা করছি এবং একটি যুদ্ধফ্রন্টের অংশ হচ্ছি। স্বভাবতই সৌদিবিরোধী শক্তিগুলো আমাদের ব্যাপারে আরো নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্বরাজনীতিতে সৌদি আরব সব সময়ই পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের আড়ালে সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের যতো রকমের প্রচেষ্টা, সবগুলোতে সৌদিদের ভূমিকা টের পাওয়া যায়। তাদের নতুন বাদশাহী নিয়ে কিছুদিন নানারকম উচ্ছ্বাস থাকলেও সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যার ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সৌদি আরব তাদের কৌশলগত অবস্থান থেকে এতোটুকু নড়ে নি।
সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের এই সমঝোতা চুক্তি হয়তো চটজলদি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা কি খুব বেশি লাভ বয়ে আনবে? বিশেষ করে যেখানে সৌদি মধ্যপ্রাচ্যে আরো আগ্রাসী হওয়ার জন্য তাদের সামরিক বাজেট ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে, সেখানে বলাই যায়, আগামীতে বড় ধরনের সামরিক তৎপরতার ভাবনা তাদের মাথায় রয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা এসআইপিআরআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদি আরব এখন বিশ্বে সামরিক বাজেটের দিক দিয়ে তৃতীয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রিয়াদের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধবিগ্রহ। সৌদি আরব গত ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা হিসেবে সৌদি আরবের নাম এসেছে। এর আগে রিয়াদ ইরাকের সন্ত্রাসীদেরকেও অস্ত্র যোগাত ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিরক্ষা প্রশ্নে সৌদি নেতিবাচক ভূমিকার কারণেই আরবের দেশসমূহের বর্তমান সঙ্কট।
সৌদি আরবের সঙ্গে বিরোধে থাকা ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, সামরিক খাতে সৌদি আরবের ব্যাপক অর্থ বরাদ্দের প্রধান কারণ হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। সৌদি আরব ২০১১ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে এবং বে আইনি প্রক্রিয়ায় সেসব দেশের সরকার বদলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সৌদি আরব মূলত গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে সামরিকিকরণের মাধ্যমে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। দেশটি আগের বছরের তুলনায় সামরিক খাতে ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেশি ব্যয় করেছে। অথচ তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির সূচক নিম্নগামী। কদিন আগেই কাতারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম বিন জাবোর আলে সানি বলেছেন, তার দেশের ওপর সৌদি অবরোধ মারাত্মকভাবে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে মারাত্মক অনাস্থা তৈরি করেছে। রাশিয়া আল-ইয়াউমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরবের একতরফা সিদ্ধান্ত ও পররাষ্ট্রনীতির কারণে এক সময়কার আঞ্চলিক শক্তিশালী জোট জিসিসি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে বহু বছর সময় লাগবে “ এই সাক্ষাৎকারে তিনি সৌদি আরবের বর্তমান শাসকদের লক্ষ্য আরো বড় যুদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন।

বোঝাই যাচ্ছে, সৌদি আরবের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতা নিয়ে তাদের বিরোধীপক্ষও বেশ সচেতন। বিশেষ করে, সৌদির যে আগামীতে কোনো বড় সামরিক পরিকল্পনা রয়েছে, সে ব্যাপারে তারা অনেকটাই একমত। তারা প্রকাশ্যেই অভিযোগ তুলছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যেসব দেশ রয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে আইএস (ইসলামিক স্টেট) লালনের অভিযোগ আছে। তারা শিয়া-সুন্নি বিভাজনে ভূমিকা রেখেছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন বিরোধী ভূমিকায় সৌদি আরবকে নিরব থাকতে দেখা গেছে। সৌদি-ইসরাইল যোগাযোগ এখন স্বাভাবিক কূটনীতিতে পরিণত হয়েছে। এরকম একটি জটিল সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে আমরা সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়তে চলেছি। কে জানে, এই সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের ভুল রাজনীতির সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যতকে যুক্ত করে ফেলছে কি না। তাই খুব জরুরি, আবারও এমন স্পর্শকাতর উদ্যোগের লাভালাভ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
#লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও সংসদ সদস্য, রাজশাহী-২

## বর্ষ ৩৯, সংখ্যা ৪৫,  সাপ্তাহিক নতুন কথায় প্রকাশিত।

Share.