জাতীয় পরামর্শ কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা করে ঈদে গণপরিবহন, রেল ও নৌযান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ —– ওয়ার্কার্স পার্টি

0

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ ১৭ জুলাই শুক্রবার, দেয়া এক বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত, টেস্ট কমিয়ে আনা, এতদ্্সংক্রান্ত দুর্নীতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরস্পরের দোষারোপ ও জাতীয় পরামর্শ কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা করে ঈদে গণপরিবহন, রেল ও নৌযান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ, টেস্ট ও শনাক্তকরণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এলোমেলো হিসাব ঐ সংক্রমণরোধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যতঃ অসম্ভব করে তুলেছে। ইতিপূর্বে টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যে ফি ধার্য্য করেছে তাতে সাধারণ মানুষ এ নিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। ‘গুচ্ছ লকডাউনে’র যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাও কার্যতঃ বাস্তবায়ন হয় নাই। এখন যখন জাতীয় পরামর্শ কমিটি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আক্রন্তে এলাকা থেকে ঈদে বাড়ী যাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে বলেছে সেখানে একই দিনে এ সম্পর্কিত সরকারি সিদ্ধান্ত বদল করে ঈদে গণপরিবহন খোলা রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলশ্রæতিতে এর ফলে করোনা সংক্রমণ প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে ছড়িয়ে পড়ার ধারাকেই বৃদ্ধি করবে না, ঈদের পরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মূল শহরগুলোর ক্ষেত্রে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটাবে।
সম্প্রতি সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের খালখেয়ালীপনার ফলশ্রæতিতে তার ভয়াবহ পরিণত সম্পর্কে হুশিয়ারি দিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার এ ধরনের বক্তব্য গুরুত্ব দিতে রাজী নয়। এর ফলে জনগণের জীবন কেবল নয়, যে অর্থনীতিকে সচল রাখার চেষ্টা নেয়া হচ্ছে সেটাই আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের জানও যাবে, মালও যাবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণ রোধেÑ
(১) অবিলম্বে টেস্ট দৈনিক বিশ হাজার উন্নীত করা,
(২) প্রতি জেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাব স্থাপন ও উপজেলা পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা,
(৩) টেস্ট করার জন্য ধার্য্যকৃত ফি বাতিল,
(৪) টেস্টের কীট সরবরাহ
ও (৫) সর্বোপরি ঈদে সকল প্রকার গণপরিবহন ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

[প্রেস বিজ্ঞপ্তি]
Share.