দেশব্যাপী সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রচলিত ধর্ষণ বিরোধী আইনের সংশোধনের দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। এতে দেশব্যাপী নারীদের নিরাপত্তা প্রদানের ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেন সংগঠনের নেতারা।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংগঠনের উদ্যোগে শাহবাগ চত্তর থেকে এক মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি টিএসসি চত্তর প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কথিত উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায় সরকার। ইট পাথরের এই উন্নয়নের গল্পের মুখে মানুষের সাধারণ অধিকারটুকু হারিয়ে গেছে। নারীরা কোথাও আজ নিরাপদ নেই। সরকার দলীয় সংগঠনের নেতারা প্রতিনিয়ত ক্ষমতাবলে ধর্ষণ করে যাচ্ছে।
তারা বলেন, সর্বশেষ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে ক্ষমতাসীন দলের গুণ্ডাদের ধর্ষণ পরবর্তী নির্যাতনের দৃশ্য দেখেছে পুরো দেশের মানুষ। এর আগে সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের নেতারা সে ঘটনাও মানুষ দেখেছে। কিন্তু তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না। মসনদে বসে অনেকে বলছেন পৃথিবীর সব দেশে নাকি ধর্ষণ ঘটে। কিন্তু সব দেশে ধর্ষণ ঘটলেও বিচার হয়, শুধু বাংলাদেশ ধর্ষণের বিচারের বিপরীতে ধর্ষকদের রক্ষা করা হয় আর ধর্ষণের শিকার নারীকে অপবাদ দেয়া হয়।
বক্তারা আরও বলেন প্রতিদিন এমন শত ঘটনা ঘটছে। সরকার দলের ক্ষমতার দাপটে তাদের নেতাকর্মীরা এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব অপরাধ নির্মূল হচ্ছে না। ধর্ষণের ঘটনায় প্রচলিত আইন অকার্যকর। এই আইনের সংশোধন দরকার।
ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ফারুক আহমদ রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতালেব জুয়েলের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি অতুলন দাস আলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মানোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরের সভাপতি ইয়াতুননেসা রুমা, প্রমুখ।