দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা করে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার রাস্তা পরিস্কার করুন, সেইটি হবে ডা: মিলনের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা -নুর আহমদ বকুল

0

“এদেশের লুটেরা পুঁজিবাদী শাসক দলগুলো কখনই সাধারণ মধ্যবিত্ত গরীব মেহনতী জনগণের স্বার্থের স্বপক্ষে দাঁড়ায়নি। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা, ‘৯০ এর অভুত্থানের অঙ্গীকার, এর ভিত্তিতে সরকার রাষ্ট্র কোন কিছুই ঠিক ভাবে পরিচালিত হয়নি। ‘৯০ এর আন্দোলনের বিজয় এসেছিলো ডা: মিলনের রক্তে। এরশাদ স্বৈরাচারের গুপ্ত ঘাতকেরা তাকে সেদিন গুলি করে হত্যা করেছিলো। তৎকালীন তিনজোটের রূপরেখা বাস্তবায়নে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করার আকাঙ্খায় ডা: মিলন সহ বহু ছাত্র—জনতা জীবন দিয়েছিলেন। এখন দেশে এক ক্রান্তিকাল চলছে, সেখানেও শাসন সংকট চলছে, দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ ব্যাপক আয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে নীরব দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অরাজগতা, মারামারি, চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যা, মন্দির ভাংচুর ইত্যাদি এক নাজুক পরিস্থিতি তৈরী করেছে, যা অশনি সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই দমবন্ধ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন ঘোষণা করে রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। নইলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী হবে।”
ডা: মিলনের শহীদি আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা জনগণের মুক্তি দিতে পারে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘৯০ এর গণঅভুত্থানে শহীদ ডা: মিলনের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তৎকালীন ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার, ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুর আহমদ বকুল উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক সাদাকাত হোসেন খান বাবুলের সভাপতিত্বে। আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, যুবমৈত্রী সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, জাতীয় যুব ঐক্য সভাপতি খায়রুল আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি। আলোচনা সভাটি ৩১/এফ তোপখানা রোডে অনুষ্ঠিত হয়।

Share.