ভাস্কর্য বিরোধিতা কোন ধর্মীয় ইস্যু নয়, আইন শৃঙ্খলার ইস্যুও নয়; এটি পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু — ওয়ার্কার্স পার্টি

0

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে, অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার শ্লোগানে পার্টির সকল ইউনিটসহ দেশের মানুষকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনের আহবান জানিয়েছে।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় সন্নিকটে জেনে পাকিস্তানীদের নির্দেশে জামাতের আল-বদর বাহিনী যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে রুখে দিতে বলেছিল। তাদের উত্তরসূরীরা আবার তেমনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতার নামে বাংলাদেশের মানুষের শিল্পবোধ, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণপ্রতিরোধের মুখে তারা কিছুটা পিছিয়ে এসে আলোচনার কথা বললেও তারা তাদের অবস্থান থেকে এতটুকু সরে নাই। বরং ঐ আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের চরম ঔদ্ধত্যমূলক দাবিকে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ইস্যু বানাতে চাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মহলই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ভাঙ্গার অর্থ ইসলামকে অবমাননা বলে ফতোয়া দিয়েছিল। পাক-বাহিনী ও রাজাকারদের নারী ধর্ষণকে যুদ্ধের ক্ষেত্রে জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছিল। এখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে তারা মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে উল্টিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ধর্মভিত্তিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ভাস্কর্য বিরোধিতা কোন ধর্মীয় ইস্যু হয়, আইন শৃঙ্খলার ইস্যুও নয় এটি পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। কোন আলাপ-আলোচনা বা ছাড়ের এখানে কোন অবকাশ নাই। যুদ্ধাপরাধের বিচারের কারণে এরা পিছু হটলেও এদের পরাজয় সম্পূর্ণ হয় নাই। তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের মধ্যদিয়ে এ সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সমাবেশ, আলোচনা সভা করার জন্য সকল পার্টির ইউনিটকে আহ্বান জানিয়েছে।

Share.