বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ ২৭ মে ২০২৩ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিনী নয়া ভিসা নীতির ঘোষণাকে বিশ^ পরিসরে মার্কিনী মোড়লীপানার সর্বশেষ উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে তাদের রেজিম চেঞ্জ যে পুরানো নীতি অনুসরণ করছে এই নয়া ভিসা নীতি সেই কৌশলের অংশ। নতুন বিশ^পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চিলি, বাংলাদেশ, ইরাক, আফগানিস্তানের মত দেশে দেশে ক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটানোর অতীতের সক্ষমতা আর নাই। আর তাই তারা এখন ‘সাংশন’, ‘ভিসানীতি’, ‘বাণিজ্যে নিষোধাজ্ঞা’ আরোপের নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে। বাংলাদেশেকেও তারা এর মাধ্যমে বাগে আনতে চাচ্ছে। এর সাথে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কোন বিষয় নাই। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কিনী এসব কূটকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে তাদের এই নতুন ভিসা নীতিতে সাধারণ মানুষের কিছু যায় আসেনা। যারা ব্যাংক লুট করে টাকা পাচার করছে, অবৈধ বাণিজ্যে লিপ্ত এবং যে সব সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের শেষ আশ্রয়াস্থল হিসাবে বিবেচনা করে তারাই এই ভিসানীতিতে আতংকিত হবে এবং তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে উদ্যোগী হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে মার্কিন এই ভিসানীতিতে বিএনপিসহ তাদের সহযোগীদের উল্লসিত হবার প্রসঙ্গ তুলে মন্তব্য করেন, “পাগলের সুখ মনে মনে”। তারা বস্তুত: “নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের” আশায় এই ভিসানীতির সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অতীতে তাদের যেমন প্রত্যাখান করেছে, এবারও করবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এদেশের জনগণই নিজেরাই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তার উদাহরণ।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে পরিশেষে বলা হয়, যে মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়ে বাংলাদেশের বিজয়কে ঠেকাতে পারেনি, তেমনি তথাকথিত ভিসানীতির লাঠ্যষোধি দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবেনা।
মার্কিন ভিসানীতি তাদের রেজিম চেঞ্জের পুরানো খেলা নতুন কৌশল—ওয়ার্কার্স পার্টি
0
Share.