বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সাবেক সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদের ভার্চুয়াল শোকসভায় পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেন, শ্রমিক ও শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে উন্নয়ন টেকসই হবে না। সম্প্রতিকালে পাটকল-চিনিকল বন্ধ করে দিয়ে সরকার যে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা এখনই শোধরানো প্রয়োজন। এদেশের শ্রমিকরাই ৬ দফা আন্দোলনে জীবন দিয়ে তাকে জনগ্রাহ্য করেছিল, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ঘেরাও আন্দোলন দিয়ে তাকে জঙ্গি রূপ দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে গাজীপুরের শ্রমিকরাই প্রথমে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, আর এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে শ্রমিক-কর্মচারি-ঐক্যপরিষদের আন্দোলন তাকে যুক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। সেই শ্রমিকদের উপেক্ষা করা বা শ্রমিকনেতাদের প্রতি সম্মান না জানানো কেবল দুঃখজনকই নয়, সেটা একটা ক্ষমাহীন অপরাধ বলেই গণ্য করা যায়। মেনন বলেন, কমরেড শফিউদ্দিন ছিলেন আজীবন বিপ্লবী কমিউনিস্ট। নির্মূহ ও আদর্শবাদী ব্যক্তি।
আজ ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টায় কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদের শোকসভায় অংশ নিয়ে স্কপের সাবেক সমন্বয়ক শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, শফিউদ্দিন ছিলেন মৃদুভাষী কিন্তু শ্রমিকের দাবির প্রশ্নে অনঢ় ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আইএলও’র দক্ষিণ এশিয় বিষয়ক শ্রমিক উপদেষ্টা জনাব সুলতান আহমেদ তার স্মৃতি সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সম্মান রক্ষায় বিশেষভাবে মনোযোগী। শ্রমিক জোটের নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির তাদের আলোচনায় কমরেড শফিউদ্দিনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, কমিউনিস্ট নেতা হিসেবে তিনি অঅনন্যকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি তাকে এ কারণেই গত ১০ম কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির আজীবন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। এছাড়া কমরেড শফিউদ্দিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস ও মাহমুদুল হাসান মানিক। শোকসভা সঞ্চালনা করেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড কামরূল আহসান। সভাপতিত্ব করেন কমরেড রাশেদ খান মেনন।