সম্প্রতি সময়ে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সৃষ্টির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ — ওয়ার্কার্স পার্টি

0

 

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ ৮ নভেম্বরের সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে সম্প্রতি সময়ে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সৃষ্টির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়, ধর্মকেন্দ্রীয় এসব ঘটনা রাজনীতি বহির্ভূত নয় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার মাধ্যমে বিশেষ রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ। এর প্রমাণ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর ইসলাম সম্পর্কিত সাম্প্রতিক বক্তব্য ও ব্যবস্থাবলী গ্রহণের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মবাদী সংগঠনের বক্তব্য ও বিবৃতি। বাকস্বাধীনতার নামে মহানবী (সঃ)-এর উপুর্যপুরী ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ পৃথিবীর সব দেশের মুসলমানদের মত বাংলাদেশের মুসলমানদের গভীরভাবে আহত ও ক্ষুদ্ধ করেছে যার সাথে ওয়ার্কার্স পার্টি সহমত প্রকাশ করে। কিন্তু সে সম্পর্কে প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের শর্তে দেশ পরিচালনা করতে হবে বলে হেফাজতের বিশেষ নেতা যে বক্তব্য দিয়েছে তা কেবল ঔদ্ধত্যপূর্ণই নয়, বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণীত ও অগণতান্ত্রিক। সম্প্রতি জামাতের সহায়তায় হাটহাজারী মাদ্রাসার কতৃত্ব দখলের পর এই ব্যক্তি জামাতের লুকায়িত এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে আরেক নেতা সংসদে যুদ্ধপরাধী জামাত নেতা নিজামী উত্থাপিত ব্লাসফেমী আইন প্রণয়নের দাবী জানিয়েছে। এ ধরণের উস্কানীমূলক বক্তব্য বিবৃতির প্রেক্ষাপটেই লালমনিরহাটে কোরান আবমাননার গুজব ছাড়িয়ে একজন যুবককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে যা অমানবিক ও নৃশংস। সরকারী সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। দেশের কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চালান হয়েছে। তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মের প্রতি কটুক্তি করার অভিযোগে একজন কলেজ ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করলেও ঐ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় সংগীতের ধর্মীয়করণ করে পরিবেশন, অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি আক্রমণ এমনকি ধর্ম নিয়ে উত্তেজক ও উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার ও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, ইচ্ছাকৃত নীরবতা পালন করছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয় বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন।
এই অবস্থায় অতীতের পরিচিত পথে মৌলবাদী ধর্মবাদী মহলকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা প্রয়োজন যা সম্প্রতি সময়ে অনুপস্থিত থাকছে। প্রয়োজন জনগণের উপর নির্ভর করা। ওয়ার্কার্স পার্টি সেই লক্ষ্যে পার্টি, ১৪ দল ও সকল গণতান্ত্রিক সামাজিক সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
এছাড়াও তিস্তা নদী রক্ষায় তিস্তা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে জনগণের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে অভিনন্দন জানানো হয়। এবং অবিলম্বে তিস্তা চুত্তি সম্পাদনের জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত প্রস্তাব উপ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা। সভায় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড ড. সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড হাজেরা সুলতানা, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কমরেড অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, কমরেড হাজী বশিরুল আলম, কমরেড জ্যোতি শংকর ঝন্টু, কমরেড অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, কমরেড আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।

Share.