‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো কুটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে উলঙ্গভাবে বাংলাদেশে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। আর তাদের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে শামিল হয়েছে এদেশের দক্ষিণপন্থী বিএনপি, জামাত, হেফাজতসহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। এদের লক্ষ্য এ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার ও চীনকে মোকাবেলা বঙ্গোপোসাগর আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি স্থাপন। এজন্য তারা অগণতান্ত্রিক পন্থায় শাসন ‘ব্যবস্থার পরিবর্তন’ ও আগামী নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সা¤্রাজ্যবাদীদের এই চক্রান্ত প্রতিহত করবেই।’
আজ বিকেলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ-উত্তর) “রুখো আমেরিকা, রুখো বিএনপি-জামাত” এই শ্লোগানে আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসান একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে। গণতন্ত্রের ধুয়া তুলে কোন অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা বদলের চেষ্টা করলে বা বিএনপি-জামাত ও তাদের মিত্ররা নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ ও তার দোষরদের চক্রান্ত ৭১ সালের মত সমুদ্রে তলিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর (উত্তর) আহবায়ক কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড আমিরুল হক আমিন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আহবায়ক কমরেড কিশোর রায়, কমরেড শাহানা ফেরদৌসি লাকী, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী কেন্দ্রীয় সভাপতি তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিউলি সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্যতম সদস্য কমরেড আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, কমরেড তাপস দাস, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাধারণ সম্পাদক অদিতি অদৃতা সৃষ্টি প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো। একটি লাল পতাকা মিছিল প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, নুর হোসেন চত্বর বায়তুল মোকারম হয়ে তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।