বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেন, ড: ইউনুসের পদত্যাগের গুঞ্জন অন্তবর্তী সরকারের সৃষ্ট সংকটেরই বহি:প্রকাশ। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী তিনদিন দেশে সরকার বিহিন শাসনতান্ত্রিক সংকট ছিল এবং তখন সেনাবাহিনী প্রধান দেশের জনগণকে আশ^ত্ব করে তিনদিন পর ড: ইউনুসকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান করে ১ম ধাপের সংকট মোকাবেলা করেছিলেন এবং অন্তবর্তী সরকার দ্রæততম সময়ে একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা পুন: প্রবর্তন করবেন এটাই ছিল জনপ্রত্যাশা। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি রাজনৈতিক লক্ষ্য হীনতায় পতিত হবার ফলে অন্তবর্তী সরকার গত ৯ মাসে দেশে আইনশৃঙ্খলা, মবতন্ত্র, প্রতিপক্ষের ওপর প্রতিশোধ, এক নায়ক সুলভ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, রাখাইন করিডরের মত গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর বিষয় জনগণকে না জানিয়ে বিদেশী শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো, লাভজনক প্রতিষ্ঠান ডাবলমুরিং কন্টেনার পোর্ট বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার মত উদ্যোগ এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে। শুধু তাই না ঐক্যমত্যের কমিশনে, সংস্কার কমিশনের বিষয়গুলোও জনগণের সামনে পরিষ্কার করতে পারেনি। সরকারের অনিদিষ্ট সময় সংস্কারের নামে কেবলি সময় ক্ষেপন করে গণতন্ত্রের পথযাত্রাকে থামিয়ে রাখাও জনগণ মেনে নিচ্ছেন না। জনগণ অন্তবর্তী সরকারের কাছে সুনিদিষ্ট ভাবে একটি সুষ্ঠু ইনক্লুসিভ নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। এবং রাজনৈতিক ভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা করছে। জনগণের আকাঙ্খা বুঝতে ব্যর্থ হলে ‘বাত রোগ ভালো করার বদলে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাকেই বাড়িয়ে তুলবে।’
পুন: শাসনতান্ত্রিক সংকট সৃষ্টি নয় দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানেই সমাধানের সুষ্ঠূ পথ—বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি
0
Share.