দাহ্য ও ক্যমিক্যাল পদার্থ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়ার পূর্বের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা
—-ওয়ার্কার্স পার্টি
Press Releas 24.12.2018.বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় ঢাকা পুরাতন চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রাণহনির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ঐ অগ্নিকান্ডে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, সঠিক হিসাব এখনো আসেনি। এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি নিবিড় অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক তথ্য ও সংখ্যা জনসমূখে তুলে ধরবে। সভায় বলা হয়, ২০১০ সালে নিমতলীর দূর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলে চকবাজারের এই ঘটনার পূনরাবৃত্ত্বি হতো না। পূরনো ঢাকার ঐ অঞ্চলে দাহ্য ও কেমিক্যাল পদার্থ সরিয়ে নেয়ার ইতিপূর্বেকার গৃহীত সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি। নানা বাহানায় ঐ সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিপরীত ধর্মী বক্তব্য বিষয়টিকে ঘোলা করছে। সভায় বলা হয়, পুরাতন ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দাহ্য-ক্যামিক্যাল পদার্থের গোডাউন অন্যত্র সরিয়ে নেয়া উচিত। সভার প্রস্তাবে আরো বলা হয় চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দায়িদের চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দূর্ঘটনায় নিহত, আহতদের ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভায় অন্যান্যদের মধ্যে পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, কমরেড হাজেরা সুলতানা ও কমরেড কামরূল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কারের নামে নতুন জামাত তৈরি করা যাবে না – রাশেদ খান মেনন
“মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নেয়া অথবা তার বিরোধীতার জন্য ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাকেও একইভাবে মানতে হবে। সংস্কারের নামে একটি নতুন জামাত তৈরি করা যাবে না। সেটা হবে আরও প্রতারণামূলক ও ভয়ংকর। তুরস্কের একে পার্টি, মিসরের মুসরীর শাসন তারই প্রমাণ দেয়। সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে জরুরি ধরে অগ্রসর হতে হবে।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত “স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণা” দিবসের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন। ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে চকবাজার ট্রাজেডীতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সম্প্রতি স্বাধীনতার বিরোধী ভূমিকার জন্য জামাতের ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে দলের একাংশের আহ্বানের উল্লেখ করে মেনন বলেন, সেটা ভাল কথা, কিন্তু যথেষ্ট নয়, বরং জামাতকে নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে তার পুনরুত্থান রোধের সকল প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
আলোচনা সভার মূল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, স্বাধীনতাই যথেষ্ট নয়, স্বাধীনতার পর দেশটা কেমন হবে সেটাও উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল, যেটা সেদিনকার ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন ) তার কর্মসূচিতে তুলে ধরেছিলেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঐ কর্মসূচির কারণে সামরিক আইনে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নেতা জাতীয় পার্টি (জাফর)-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। শারিরীক অসুস্থতার কারণে বিশেষ অতিথি হায়দার আনোয়ার খান জুনোর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক কিশোর রায়।