অর্থনৈতিক ও মানব মুক্তির জন্য সমাজতন্ত্রের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে

0

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মহান ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর এবং কমিউনিস্ট ইস্তেহারের ১৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ বিভাগের উদ্যোগে আজ শহীদ রাসেল আহম্মেদ খান মিলনায়তন ২১/এফ তোপখানা রোড আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মতাদর্শ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কমরেড সুশান্ত দাস, আলোচনায় অংশ নেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শসশির। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাব্বাহ আলী খান কলিন্স।
বক্তারা বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য যেমন ভাষা মুক্তিসহ সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতিগত নীপিড়নের বিরুদ্ধে ভাষার লড়াই ছিল। এবং শেষ পর্যন্ত ৭১ সনে এসে জাতীয়তাবাদী লড়াই বাঙালি জাতির একটি জাতিসত্তার পরিচয় সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধ জনমুক্তি, মানবমুক্তির চেতনাকে আরো শানিত করে। ভাষা আন্দোলনের পথে এদেশের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে ‘শোষণ মুক্তির’ একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বপ্ন আরো বেশী স্ফুরিত হয়। সাম্যবাদী চেতনা সৃষ্টিতে কমিউনিস্ট ইশতেহার ১৮৪৮ সনে ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে পুজিঁবাদের শোষণ শাসনের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক লড়াকু শক্তির পথ সৃষ্টি করা হয়। মহান বিপ্লবী মার্কস এবং এঙ্গেলসের ‘এই লাল বই’ দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ করার সাহস দেখিয়েছে। মানব মুক্তির রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজতন্ত্র পৃথিবীতে রূপ পেয়েছে। সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় হলেও পুঁজিবাদের নয়াউদারতাবাদী নীতি সাধারণ মানুষের জন্য কোন অর্থনৈতিক মুক্তির দুুয়ার খোলেনি বরং পুজিবাদের শোষণ শাসন আরো বেড়েছে। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি কমিউনিস্ট ইশতেহারের ১৭৬ তম বার্ষিকী বিশ^ব্যাপী ‘রেড বুক ডে’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। কমিউনিস্ট ইশতেহারের প্রসঙ্গিকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে দেশে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানে বিশ্বের নীপিড়িত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবেন সেটা যেমন প্রত্যাশিত তেমনি বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের লড়াইও তেমন প্রাসঙ্গিক।

Share.