করোনার সংক্রমণে মানুষ যখন উদ্বাস্তু তখন রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের পাটকল বন্ধ করা দেয়া ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হিসাবে এসেছে। এর ফলে কেবল পঞ্চাশ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীনই হয় নাই, তাদের পরিবার পরিজন অসহায় অবস্থায় পড়েছে। আদমজীর শ্রমিকদের মত এদের অনেকেরই মরা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। অন্যদিকে জাতি হারাবে ক্রমবর্ধিষ্ণু বিশ্ব পাটপণ্যের বাজার। রাষ্ট্রায়ত্ব খাতে রেখেই পাটকলগুলোকে লাভজনক করার জন্য স্কপ এর যে প্রস্তাব ছিল, সরকার তা’নিয়ে আলোচনাও করলনা। ব্যক্তি উদ্যোক্তারা এখন পিপিপি নয়, এসব পাটকল ৯৯ বছরের জন্য ইজারা চাচ্ছেন। বিএনপি সরকার যা করতে পারেনি, এখন সেটাই বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
আজ ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দাবী দিবসে ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন কর্মসূচিতে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ভিডিওকলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে একথা বলেন।
বন্ধ পাটকল খুলে দেয়া, শ্রমিক-কর্মচারী বকেয়া পরিশোধ, রাষ্ট্রায়ত্ব খাতে রেখেই পাটকলগুলো আধুনিকায়ন, স্বাস্থ্যখাতে দূর্নীতি বন্ধ, করোনায় কর্মহীন অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবি মানুষকে আরও ৬ মাস সহায়তা প্রদানসহ ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত ‘দেশব্যাপী দাবী দিবস’ এর শুরুতে ভারতের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুর্খাজীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান হয়।
মেনন বলেন, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমলেও তা আরও বহুদিনই থাকবে। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোন প্রকার শৈথিল্য করা যাবে না। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের যে অবস্থা চলছে তা উদ্বেগজনক। জনগণের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের উৎসাহিত করার জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির বিভিন্ন স্তরে বিশেষ কর্মসূচি নিতে তিনি আহবান জানান।
ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি জননেতা কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, কমরেড তাপস দাস, শ্রমিকনেতা তপন সাহা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, শ্রমিক নেত্রী মুশির্দা আখতার নাহার, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, শ্রমিকনেতা রফিকুল ইসলাম সুজন, তাপস কুমার রায়, শ্রমিক নেত্রী মমতাজ বেগম, ওমর ফারুক সুমন, মামুন মোল্লা, অতুলন দাস আলো প্রমুখ।