“খেলাপীদের ঋণ হাজার কোটি টাকা মাওকুফ বা পুনঃতফসিল করতে আমরা যত উৎসাহী, ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করি, করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার বা ট্রায়ালে তত উৎসাহী নই। পশ্চিমা দেশগুলো এমনকি পাশের দেশ ভারতও নিজের ভ্যাকসিন আবিস্কারে সরকার থেকে সহযোগিতা করছে। সেখানে বাংলাদেশের গবেষকরা ভ্যাকসিন আবিস্কারের হিউম্যান ট্রায়াল পর্যায়ে আছে বলে দাবী করলেও সে ব্যাপারে কারও উৎসাহ দেখিনা। সরকার কোন সহযোগিতা করছে কিনা জানা নাই। এখন যখন ভ্যাকসিন আনার কথা বলা হচ্ছে, তখন সেটা কতখানি বাণিজ্যিক, কতখানি মানবিক সাহায্য সেটাও এখনো পরিস্কার নয়। কিন্তু দেশে করোনা নিয়ে যে অনৈতিক বাণিজ্য হল, দুর্নীতি হল এবং না এখনও অব্যাহত, ভ্যাকসিন নিয়ে সেটা হবে না তা বলা যায়না। যেটুকু বোঝা যায় তা’হল আগামী বছরের শুরুতেও যদি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তা দেশের গরীব মানুষ দূরে থাক, মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে না। দেশের মানুষকে তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরতে হবে, সহবাসনিরোধ মানতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটিকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাক বা না যাক, নগরবাসীকে নিদেনপক্ষে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করতে কর্মসূচি নিতে হবে। করোনা সংক্রামণের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার কোন বিকল্প নাই।”
আজ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি সভায় ভিডিও যুক্ত হয়ে পার্টির সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেনন এমপি এই আহবান জানান।
মেনন বলেন, করোনা সংক্রামণ স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও ভঙ্গুর অবস্থায় যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তার অবসানের কোন লক্ষণ নাই। বরং ঐ দুর্নীতিবাজরাই জেকে বসে আছে। একমাত্র জনদাবী স্বাস্থ্যখাতে পুনগর্ঠনে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে পারে।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় করোনাকালীন সময়ে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির কার্য্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। আলোচনায় অংশ নেন কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মোঃ তৌহিদ, কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, বাবুল খান, শাহানা ফেরদৌসি লাকী, মুর্শিদা আখতার, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, শিউলি শিকদার, আব্দুল আহাদ মিনার, তপন সাহা, তাপস দাস, ওমর ফারুক সুমন প্রমুখ।