‘সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সোচ্চার বলেই কমরেড মেননের কন্ঠকে স্তব্ধ করতে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সেদিন তার বুকে বুলেট বিদ্ধ করেছিল। মৃত্যুঞ্জয়ী মেননের ফিরে আসায় দক্ষিণপন্থী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির কালো স্বপ্ন নস্যাৎ হয়েছে। তাই এখনো তারা নানা মাধ্যমে কমরেড মেননের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা রটায়। তারা জীঘাংসার আগুনে পুড়ছে।”
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাশেদ খান মেনন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মুক্তিযোদ্ধার হত্যাচেষ্টার বিচার না হওয়ার দেশবাসী ক্ষুব্ধ। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যা এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার কার্য করলেও মেনন হত্যাচেষ্টার বিচার না করায় দেশবাসি সংশয় প্রকাশ করছেন। বক্ত্যরা বলেন, মেনন হত্যাচেষ্টার অবিলম্বে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে। তা নাহলে দেশবাসি এই হত্যাচেষ্টার বিচার কার্য সম্পন্ন করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। দেশে আইনে শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মেনন হত্যাচেষ্টারসহ সকল হত্যার বিচার করা বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কমরেড রাশেদ খান মেনন ১৪ দলের আন্দোলনের রূপকার। ১৪ দলের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছেন। ফলে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সকল হত্যা ও হত্যাচেষ্টার বিচারের কোন বিকল্প নাই।
আজ ১৭ আগস্ট ২০২৩ সন্ত্রাস বিরোধী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির (দক্ষিণ ও উত্তর) উদ্যোগে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক কমরেড কিশোর রায়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মূল বক্তা ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসান, সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী কেন্দ্রীয় সভাপতি তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাধারণ সম্পাদক অদিতি অদৃতা সৃষ্টি। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুল। সমাবেশে পার্টির কেন্দ্রীয় ও মহানগরসহ বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি লাল পতাকা মিছিল প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, নুর হোসেন চত্বর বায়তুল মোকারম হয়ে তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।
ঢাকায় সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সোচ্চার বলেই কমরেড মেননকে হত্যাপ্রচেষ্টা করা হয়—ওয়ার্কার্স পার্টি
0
Share.