• ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে করোনাকালে ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় অথচ ধনী বৃদ্ধি ঘটছে ১১.৪ শতাংশ …. রাশেদ খান মেনন

0

করোনাকালে যেখানে চল্লিশ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় চলে গেছে সেখানে বাংলাদেশে ধনী বৃদ্ধি ঘটছে ১১.৪ শতাংশ হারে। এই অসমতা মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও সমতার ঘোষণাকে অসার প্রমাণিত করেছে। সরকার এই ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কথা স্বীকার না করলেও, এই বাস্তবতা দেশকে এক বিপদজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই করোনাকালেও খুন, রাহাজানি, ধর্ষণসহ অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে এখনই রাশ টেনে ধরতে না পারলে দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যাবে না। সমস্ত দেশ নৈরাজ্যের গহŸরে পতিত হবে। উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অসমতা দূর করতে সরকারের অর্থনৈতিক নীতির পরিবর্তন করতে হবে। নয়াউদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক নীতি থেকে সাম্যবিধানের নীতিতে ফেরত আসতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে সামনে তুলে ধরবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারকে শাণিত করে সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
আজ ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন।মেনন বলেন, করোনা সংক্রমণ হ্রাসের ধারায় নামলেও, ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। এ নিয়ে একেক ব্যক্তি একেক কথা বলায় বিভ্রান্তি বাড়ছে। নিজ দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে ট্রায়ালে বাধা সৃষ্টি করা, নিজ দেশের উদ্ভাবনকে সহায়তা না করা ও সর্বোপরি মহল বিশেষের ব্যবসায়িক স্বার্থকে জনস্বার্থের উর্ধে স্থান দেয়া এর কারণ। কেবল করোনা মোকাবেলাই নয়, জনগণের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবার স্বার্থে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থা থেকে বের করে ঢেলে সাজাতে হবে।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ঢাকায় ২৭ মার্চ লাল পতাকা মিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিখা চিরন্তনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মিছিল শুরু হয়ে শাপলা চত্বরে শেষ হবে। সভায় পার্টি সভ্যপদ বাৎসরিক নবায়ন ও লেভি-চাঁদা আদায় কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় ঢাকা মহানগরের রিপোর্ট পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়। বক্তব্য রাখেন সর্বকমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মোঃ তৌহিদ, আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, শাহানা ফেরদৌসী লাকী, মুর্শিদা আখতার, শিউলি সিকদার, তাপস কুমার রায় প্রমুখ।

Share.