শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ কেবল রাজনৈতিকভাবে ঔদ্ধত্যপূর্ণই নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি চরম অবজ্ঞার প্রকাশ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই দিনটি চরম বেদনার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে এ দেশকে বুদ্ধিজীবী শূণ্য করতে জামাত-সৃষ্ট আলবদররা চরম গুম ও খুনের খেলায় মেতে উঠেছিল। আর সেই জামাতসহ পাকিস্তানীদের অস্ত্র-অর্থ দিয়ে সহযোগিতাই নয়, জাতিসংঘকে দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনতাই করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার রাষ্ট্রদূত যখন বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে তখন সেটা চরম রসিকতাই বলে মনে হয়। এছাড়া একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ পশ্চিমা দেশসমূহের রাষ্ট্রদূতরা যে আচরণ করছে তা কূটনৈতিক শিস্টাচারেরও লংঘন। সরকারই নয় কেবল, বাংলাদেশের মানুষকেই বর্হিশক্তির তার স্বাধীনতার রক্ষায় এক হয়ে দাড়াতে হবে।’
আজ ১৫ ডিসেম্বর গোপীবাগে আলবদরদের হাতে নিহত তিন শহীদ বদিউজ্জামান, শহীদ সিরাজ ও শহীদ মুল্লুক জাহানের কবরে পুষ্পঞ্জলী প্রদান করে সমবেত এলাকাবাসী ও শহীদ সিরাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, একাত্তরে জামাত সৃষ্ট আলবদর বাহিনী গোপীবাগের বাসা থেকে উক্ত তিন ভাইকে তুলে নিয়ে যায় এবং ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিজয়ের পর রায়েরবাগ বধ্যভূমি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে গোপীবাগ পঞ্চায়েত কবর স্থানে কবর দেন।
প্রতিবছরের মত এবারও শহীদ সিরাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, আওয়ামী লীগ ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির তরফ থেকে পুষ্পস্তবক দেয়া হয়। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সভাপতি হাজী সুলতান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ শহীদদের প্রতি চরম অবজ্ঞার প্রকাশ—রাশেদ খান মেনন
0
Share.