“বাংলাদেশের এই মহুর্তের মহাবিপদ সা¤্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দেশের যুব সমাজকে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন। আজ (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ যুব মৈত্রী’র জাতীয় পরিষদ সভায় সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে সা¤্রাজ্যবাদ ও দক্ষিণপন্থী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে এই লড়াইকে মুখ্য লড়াই হিসেবে নিয়ে এর সাথে বেকারত্ব, দুর্নীতি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা’সহ অন্যান্য লড়াইকে যুক্ত হরতে হবে।”
রাজধানীর তোপখানা রোডে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবনেতা তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমরেড রাশেদ খান মেনন আরো বলেন,“এদেশকে মুক্তিযুদ্ধের উল্টোযাত্রায় ফেরাতে সা¤্রাজ্যবাদ ও জামাত- হেফাজত সহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মিলেমিশে একাকার হয়েছে। এটা মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের ‘রেজিম চেঞ্জের’ অপকৌশল। মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য কায়েম করতে চায়, এশিয়া অঞ্চলে ন্যাটোর সম্প্রাসারণ করতে চায়, কোয়াড, নিউ ইকোনোমি শক্তিশালী করতে চায়। আগামী দিনে বিশ^ অর্থনীতিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উত্থান ঠেকাতে চায়। এর জন্য এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ বাংলাদেশকে নিজেদের আয়ত্ত্বে নিতে নিজেদের মিত্রকে ক্ষমতায় বসাতে চায়। সে কারণেই তারা আমাদের নির্বাচন কেমন হবে তা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। সেই ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে বিএনপি-জামাত সহ সাম্প্রদায়িক দক্ষিণপন্থী সকল অপশক্তি। তাই রাজনৈতিক লক্ষ্য স্পষ্ট করে যুব সমাজকে এর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে। সেই লড়াইয়ের দায়িত্ব নিয়ে যুব মৈত্রীকে মানুষের পাশে যেতে হবে। মানুষ তারুণ্যের কথা শোনার জন্য কান পেতে আছেন।”
বর্ষীয়ান এই বামপন্থী নেতা বলেন,“ বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে উন্নয়নে এগিয়েছে। যে পথে এই উন্নয়ন, সেই পথের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এগোতে পারবে না। এ কারণেই মার্কিনীদের এত মাথাব্যথা, অযাচিত নগ্ন হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশ যদি মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের বশ্যতা স্বীকার করে তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে রুখো সা¤্রাজ্যবাদ, রুখো সাম্প্রদায়িকতা।
জাতীয় পরিষদে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস। অর্থনৈতিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুব্রত সানা। শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহাবুদ রানা তরুন। সভায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পরিষদ নেতা আব্দুল আহাদ মিনার, অনুপ কুমার পিন্টু, কায়সার আলম, কামরুল হাসান সুমন, মতিউর রহমান মতি, মানোয়ার হোসেন, শামীম ইমতিয়াজ সুমন, মনোজ বাড়ৈ, দেলোয়ার হোসেন, সেলিম, নজরুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, মোস্তফা কামাল বিপুল, জিকু পাল, মোহাইমিনুল হক রানা, জাকির হোসেন বিজয়, রাশেদ খান মেনন, নাজমুল হাসান, মাস্টার নজরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আবু বকর, শামীম রেজা ইব্রাহিম, অম্বিক ম-ল প্রমুখ।