আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ যুব মৈত্রী স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও সিÐিকেটের সাথে জড়িতদের বিচার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বক্তাগণ বলেন, সরাসরি জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত এই খাত দীর্ঘকাল যাবত দুর্নীতির মহাসাগর ও সিÐিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে করোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, দুর্নীতিকে সরকার জিরো টলারেন্স বলছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দুর্নীতি পরায়ন গোষ্ঠীকে মনে হচ্ছে সরকারের চাইতেও শক্তিশালী। সম্প্রতি রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতাল মালিক সাহেদ এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। সাহেদের পিছনে যারা তাকে শক্তি যুগিয়েছে তারাও ধরাছোয়ার নাগালের বাইরে। করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করার পর থেকে মাস্ক ও পিপিই কেলেঙ্কারিসহ সামগ্রিক উদাসীনতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কর্মকাÐে প্রমাণিত তিনি অযোগ্য ও ব্যর্থ। বক্তাগণ, অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন। সম্প্রতি সরকার করোনা টেস্টের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে টেস্টের ফি নির্ধারণ করেন, যা জনসাধারণের সাথে তামাসার শামিল। বক্তাগণ করোনা টেস্টের সকল প্রকার ফি প্রত্যাহার ও করোনাসহ অন্যান্য অসংক্রমিত রোগের চিকিৎসার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান ও স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর আহŸান জানান। স্বাস্থ্যখাতকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করে আমূল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ফ্রন্টলাইনে যারা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। আর যারা সেবা দিতে গিয়ে মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দেশব্যাপী সকল উপজেলা-জেলায় স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী কেন্দ্রকে অনুসরণ করে কর্মসূচি পালনের আহŸান জানিয়ে প্রতিবাদী মানববন্ধনের সভাপতি কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, সহসভাপতি তৌহিদ রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানী, সহসভাপতি কায়সার আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এম মিলটন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সুমন, জামিলুর রহমান ডালিম, মানিক হাওলাদার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সহসাধারণ সম্পাদক যুব নেতা তাপস দাস।