• ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল যোগানদার শ্রমিক হলেও তাদের জীবন ভালো নেই—-জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন

0

“শ্রমিক আন্দোলনের সংগ্রামী মেজাজের অনুপস্থিতির কারণে তার গৌরবোজ্জ্বল অতীত ম্লান হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের দুর্বলতার সুযোগে প্রতিষ্ঠিত শিল্প কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের বেকার করা হয়েছে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরী বিধান না থাকায় সমাজে বৈষম্য তৈরী হয়েছে।” আজ তোপখানা রোডস্থ ফেডারেশন কার্যালয় চত্ত্বরে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কিংবদন্তী শ্রমিকনেতা কমরেড আবুল বাশারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটবুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক এ কথা বলেন। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান। সভাপতির বক্তব্যে কামরূল আহসান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে এবং আয় কমে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। অন্যদিকে শ্রমিক আন্দোলনের দুর্বলতার কারণে মালিকশ্রেণী বেপরোয়া শোষণ নির্যাতন চালাচ্ছে।
কমরেড আবুল বাশার স্মরণে কমরেড সুশান্ত দাস বলেন, কমরেড বাশার এদেশের শ্রমিকদের তাদের অর্থনীতিবাদী আন্দোলনের গ-ি থেকে রাজনীতির ময়দানে নিয়ে এসেছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানকালে চট্টগ্রামের শ্রমিকদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবিত করেছিলেন।
কমরেড নুর আহমদ বকুল বলেন, বর্তমানে এদেশের শ্রমিক আন্দোলনকে নতুন ধারায় শ্রমিকের স্বার্থরক্ষার ধারায় পুনসংগঠিত করতে হবে, তবেই কমরেড আবুল বাশারের স্মরণ সার্থক হবে।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বলেন, যেখানে সমস্যা সেখানেই সংগঠন গড়ে প্রতিবাদী হোন। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনকেই শ্রমিক স্বার্থরক্ষায় আগামী দিনের নেতৃত্ব দিতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কিশোর রায়, যুবমৈত্রী অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হক সেনা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহানা ফেরদৌসী লাকী ।

Share.