• ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা বাগানের শ্রমিকদের ৩শ টাকা মজুরির দাবী মেনে নাও–জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন

0

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন  চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন ও দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সমর্থন জানিয়েছেন। আজ এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “গত ৯ আগস্ট থেকে চা বাগানের শ্রমিকরা ৩শ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। গত ক‘দিন যাবৎ ত্রিপক্ষীয় সভায়ও বিষয়টির সুরাহা করা যায়নি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিপরীতে মাত্র ১৪ টাকা মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছে। বর্তমানে চা শ্রমিকদের যে মজুরী, বিদ্যমান উচ্চমূল্যের বাজারে কখনই তা জীবন-যাপনের উপযোগী মজুরি হতে পারে না। বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে বৃটিশ শাসিত ঔপনিবেশিক নীতিতেই চা বাগানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, যা কখনই মানবিক হতে পারে না। একজন শ্রমিক যে হারে মজুরী পাচ্ছেন, তা দিয়ে শ্রমিক ও তার নির্ভরশীল পরিবারের ভরণপোষণ করা যায় না। অথচ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের রেশন সুবিধার অবান্ত প্রশ্ন তুলছেন। যদিও এই রেশন ও বর্ধিত মূল্য পরিশোধে শুভঙ্করের ফাঁকির বিষয়টি বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না। কেননা বহুদিন থেকেই শ্রমিকরা অভিযোগ করে আসছেন যে, রেশনে যে চাল বা আটা দেওয়া হয় তা কখনই ঘোষিত পরিমাপের পরিমাণ পাওয়া যায় না। অপরদিকে বেশি সংখ্যক শ্রমিকই ২০ কেজি পাতা তুলতে পারেন না। এক্ষেত্রে যে পরিমাণ কম তোলা হয় এবং তার বিপরীতে যে টাকা দৈনিক মজুরি থেকে কেটে নেওয়া হয়, সেটি বাড়তি পাতার জন্য প্রদেয় মূল্যের চাইতে অনেক বেশি। এই শুভঙ্করের ফাঁকির বিষয়টি মালিকপক্ষ বরাবরই এড়িয়ে যান! বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রায় ২শ বছর আগে যাত্রা শুরু করা এই শিল্পের শ্রমিকরা এখনও মানবেতর শোষণের শিকার হচ্ছে, যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তারা বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের সকল প্রকার শোষণ থেকে মুক্তির জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে- শ্রমিকের মৌলিক প্রয়োজনের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বাগান শ্রমিকদের ও তার পরিবার-পরিজন প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা সভ্যসমাজে কাম্য হতে পারে না। এই বৈষম্য দূর করতে হবে, এ জন্য  সরকারকেই কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। বিবৃতিতে তারা, চা বাগানের শ্রমিকরা ৩শ টাকা মজুরির যে দাবি তুলেছেন, মেনে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান এবং বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ  মজুরি সমন্বয়ের স্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলার আহবান জানান।

Share.