• ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

0

১৭ই নভেম্বর ২০২১খ্রিঃ স্বাধীনতা- মুক্তি- বিপ্লব ও অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অকুতোভয় যোদ্ধা , বাঙালি জাতিসত্তার- স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ, বামপন্থী কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের প্রাণপুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি টাঙ্গাইল জেলা কমিটি’র পক্ষ থেকে –
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা কমিটি’র সভাপতি কমিউনিস্ট বিপ্লবী কমরেড গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টি টাঙ্গাইল জেলা কমিটি’র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মাহমুদুল হাসান পিপলু, পার্টি’র জেলা সম্পাদক মন্ডলী’র সদস্য কমরেড সাইফুর রেজা মামুন,কমরেড আনোয়ার হোসেন চিশতিয়া, কমরেড এডভোকেট সাইফুল ইসলাম,কমরেড মাসুদ রানা, পার্টি’র জেলা কমিটি’র সদস্য কমরেড সুকুমার,কমরেড লুৎফুল কবির,কমরেড মাসুকুল হক মুরাদ,বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি শেখ রাহাদুল ইসলাম রনি, জেলা ছাত্র মৈত্রীর বিপ্লবি সাধারণ সম্পাদক মোঃ অনিক দেওয়ান, টাংগাইল জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পার্টির সদস্য ও সাংবাদিক গফুর সরকার সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিছিলসহ মাজারে ফুলের ২ টি পুষ্পস্তবক – অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ।
মওলানা ভাসানীই পূর্ব বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, শহরে- বন্দরে কৃষক- মজুরদের রাজনৈতিক ভাবে সংগঠিত করে দেশব্যাপী তৃণমূল রাজনৈতিক সচেতনতার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। যেমনটা তিনি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশবিরোধী স্বরাজ আন্দোলন, আসামে জমিদার ও সুদখোর মহাজন বিরোধী কৃষক- মজুরদের ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। মওলানা ভাসানীই প্রথম মানুষের আত্মমর্যাদা ও নাগরিকত্বের প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসে বর্তমান ভারত সরকারের এনআরসির পূর্বসূরী আসামের কুখ্যাত লাইন প্রথা ও বাঙালি খেদাও বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

স্বাধীনতার পরবর্তীতে সংবিধান প্রণয়নে নতুন জনপ্রতিনিধিত্বের দাবি তোলেন মওলানা ভাসানী রাজনৈতিক জুলুম- নিপীড়ন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী কন্ঠ ছিলেন। দেশে দুর্ভিক্ষাবসস্থার অনুমান করে দুর্ভিক্ষের প্রতিরোধ ও জনগণের জীবন বাঁচাতে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনিই। জীবনের শেষ সময়ও মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষ ও নদী বাঁচাতে ফারাক্কা লংমার্চের নেতৃত্ব দেন। নদী- প্রাণ-প্রকৃতি স্বাভাবিকতা রুদ্ধ করার নীতি বিরুদ্ধে রাজনীতিকদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান নেন। তিনি দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেন,” পিন্ডির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করতে নয়।” যতই দিন যাচ্ছে মওলানা ভাসানী সার্বভৌমত্ব ও মানুষের মুক্তির রাজনীতির দিশা নিয়ে ততই আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
“মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন আন্দোলন – সংগ্রাম – লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ‘৭১ মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা যায় না।”………………
বামপন্থী কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের চেতনায় যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী। লও লও লাল সালাম মওলানা ভাসানী।

Share.