• ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী-২: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ফজলে হোসেন বাদশা

0
রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু রাজশাহী-২ সদর আসনে দলটির পক্ষ থেকে কোনও প্রার্থীর নাম ছিল না। সেই আসনে নির্বাচনের জন্য সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম, ডিজিএজি রায়হান পারভেজের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ফজলে হোসেন বাদশা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুঃখ কষ্ট থাকা স্বাভাবিক। তবে সেটি ভুলে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা মহাজোটের জন্য ৩০০ আসনে কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন এটা প্রথম না। আমি ২০০২ সালের রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম। আমি জয়ী হওয়ার পরেও, টেলিভিশনের পর্দায় ৬৬ হাজার ভোট দেখানোর পরেও দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে নির্দেশ এসে সেই রায় পরিবর্তন করেছিল, সেটা আপনারা জানেন। অর্থাৎ ২০০২ সালে আমি তাদের পরাজিত করেছিলাম। ২০০৮ সালে আমি বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসে নাই। সেসময় তারা জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করে দেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। এখন যারা আবার ফিরে আসছে নির্বাচনে তারা সেই একই ব্যক্তি। যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল, জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল, বাংলা ভাইয়ের মদদদাতা-আর্থিক সহায়তাকারী এবং সারা রাজশাহীর মানুষের নিরাপত্তাহীনতা জন্য, মানুষ খুনের জন্য অর্থ জোগান দিয়েছিল সেই ব্যক্তিরা আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে আসছে।’

একইসময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের ধারার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মানুষ উন্নয়ন চায়, জঙ্গিবাদ চায় না। মানুষ এগিয়ে যেতে চায়, ভবিষ্যতের উন্নত বাংলাদেশ চায়। এখানে কোনও অগ্নিসন্ত্রাসের জায়গা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমি সারাজীবন জনগণের সঙ্গে কাজ করেছি। রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য আমরা আরও কাজ করবো এবং জনগণ আমাদের পাশে আছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমীন প্রামানিক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, বরেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, কেন্দ্রীয় সদস্য জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, রাজশাহী মহানগর পার্টি সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রমানিক দেবু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, কেন্দ্রীয় সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবু সাইদ, সাদেরুল ইসলাম, মহানগর পার্টির সদস্য আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কেএএম জুয়েল, রাজশাহী মহানগর সভাপতি এএইচএম জুয়েল খান, সাধারণ সম্পাদক সম্রাট রায়হান, মাহমুদ মোরশেদ চুন্না, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী জেলা সভাপতি মনিরুদ্দিন পান্না, মহানগর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক কমিশনার মাহাতাব বাবু প্রমুখ।

Share.